যে ব্যক্তির নিশ্চিতভাবে কোভিড-19 এর সংক্রমণ হয়েছে বা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে, তিনি টিকাকরণ কেন্দ্রে আসলে বাকি সকলের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই কারণে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিজেদের সমস্ত উপসর্গগুলি চলে যাবার 14 দিন পরে টিকা নেওয়া উচিৎ।
যদি করোনা ভাইরাস 30টি ভিন্ন স্ট্রেইনে অভিযোজিত হয়, তবে কতগুলি টিকা অবশ্যই উৎপাদন করতে হবে?
বিশ্বাস করা হয় যে অভিযোজন কোভিড-19 এর কার্যকারিতাকে কখনোই ব্যাহত করে না। বস্তুত, নোভেল করোনাভাইরাসের ধীর এবং মৃদু গতির প্রকৃতি টিকার জন্য একটি অত্যন্ত ভালো সংবাদ।
গবেষকরা বলেন যে প্রাথমিক অবস্থার সঙ্গে ভাইরাসটি এখনো এতটাই সাদৃশ্যপূর্ণ, যে এর বৈসাদৃশ্যগুলি টিকাগুলির কার্যকারিতার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো প্রভাব ফেলে না।
সাধারণত, টিকার মাধ্যমে ভাইরাসের একটি আদিরূপকে লক্ষ্য করে। একটি ভাইরাসের পূর্বেকার স্ট্রেইনে এর সমস্ত প্রকার ভ্যারিয়ান্টের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অনাক্রম্যতা প্রদর্শন করার মত যথেষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে।
করোনাভাইরাসের জন্য একটি টিকা বানানোর জন্য কি এখনো হুড়োহুড়ি চলছে?
বর্তমানে এই নিয়ে হুড়োহুড়ি চলছে এবং সমগ্র বিশ্ব জুড়ে প্রায় 120টির উপরে গোষ্ঠী কোভিড-19 এর টিকা নিয়ে গবেষণা করছে। কোনো টিকাকে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য ছাড়ার আগে এই টিকা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া উচিৎ। এটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে এই টিকাটি অনাক্রম্যতার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে সাড়া দেবে। ওষুধের মতই, সম্ভাব্য টিকাগুলিকেও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাস করতে হবে।